সোনার হরফে লেখা
ছোট বেলায় বড়দের মুখে একটা কথা শুনতাম – ‘ছোটদের হাতে টাকা দিতে নেই’। কারণটা তখন উদ্ধার করতে না পারলেও এখন অনেকটা বুঝি। এর অন্যতম কারণ, ছোটরা টাকার রাইট ইউজ করতে জানে না। এটা স্বাভাবিক, যে বাচ্চা কখনো ছুড়ি দেখেনি, তার হাতে ছুড়ি ধরিয়ে দিলে চামচ মনে করে মুখে ঢুকিয়ে দেবে। টাকার ব্যাপারটা এতটা মারাত্মক না হলেও এর চেয়ে কোনো অংশে কম খারাপ নয়। যেটা ছোট বেলায় দেখেছি, আমাদের বয়সী বাচ্চারা বাবার মার থেকে টাকা নিয়ে ম্যাচ খেলতো। যে জিতবে, তাকে সেই টাকার মধ্যে কিছু কিনে দিতে হবে। যা এক প্রকার জুয়ার মতো। আজও আমাদের এলাকায় এটা প্রচলিত আছে। কেবল রূপ পাল্টিয়েছে।
আজকের যে কোটিপতিদের দেখি, গরীবের টাকা খেয়ে দাপটের সাথে চলছে, সঠিকভাবে যাকাত-সাদাকাহ দিচ্ছে না, দান করছে তো দুনিয়াবি স্বার্থেই করছে- এসব কিন্তু সেই ছোট বেলায় পাওয়া শিক্ষারই ফল। তাদের উচ্চ ডিগ্রির সার্টিফিকেট থাকলেও মানবতাবোধ বলে কিছু নেই অন্তরে। ইসলাম প্রত্যেক ভাল কাজের সাথে আখিরাতকে যুক্ত করেছে, যাতে কেবল দুইদিনের মানব কল্যাণের পাশাপাশি আখিরাতের জন্য বিরাট একটা ইনভেস্টমেন্টও হয়। এ্যাকাউন্টের নাম ‘সাদাকায় জারিয়াহ’। আখিরাতের এ্যাকাউন্টে এভাবে ইনভেস্ট করার খুব উত্তম নজির আমাদের পূর্ববর্তীরা রেখে গেছেন। যা ছোটকাল থেকে শিশু মনে একে না দিতে পারলে বড় হয়ে তার পরিবেশের ওপর বেইজ করে তৈরি হওয়া লোভী/কার্পণ্য/স্বার্থপর স্বভাবকে বলে বুঝিয়ে পাল্টানো দায়। মানুষ যা করে অভ্যস্ত হয়, সেটাই তার স্বভাবে পরিণত হয়। তাই ছোট বেলা থেকেই শিশুদেরকে এমন কিছু উত্তম কাজে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে, যা তার পবিত্র অন্তরটা সঠিক পথে বিকশিত করবে।
এমনি কিছু শিক্ষণীয় গল্পে রঙিন করা হয়েছে ‘সোনার হরফে লেখা’ বই এর পাতাগুলো। ছবি, কালারফুল পৃষ্ঠাসজ্জা; আবেগ-স্নেহের ভাষায়, শিশুদের জন্য রোমাঞ্চকর পদ্ধতিতে লেখা হয়েছে পূর্ববর্তীদের জীবনী থেকে কিছু গল্প। ১০-১৫ বছরের বাচ্চাদের জন্য উপযোগী।
বি:দ্র: সোনার হরফে লেখা বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.