বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসি এবং রিসালায়ে নুর
সব আশা শেষ! বিশ্বাসীরা হাল ছেড়ে দিলো, পরাজয় মেনে নিলো বুঝি।
কিন্তু তিনি জেগে উঠলেন, দায়িত্ব নিলেন সবাইকে জাগানোর। শেষ থেকেই যেন শুরু। ধ্বংসস্তূপ থেকেই ফিনিক্স পাখি ঠোঁট বের হলো।
অনেকেই বললেন—‘আপনি মদিনায় হিজরত করুন বদিউজ্জামান; সময়টা আপনার নয়। ওরা আপনাকে বিনাশ করবে।’
তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন—‘কী বলছেন আপনারা? সময় এখন তুরস্কে হিজরত করার। আমি যদি মদিনার অধিবাসী হতাম, তাহলে অবশ্যই আমি আতাতুর্কের এই তুরস্কে হিজরত করতাম।’
জি, আমরা বলছি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কারক বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসির কথা। জাহেলিয়াতের ভরা যৌবনেও যিনি সত্যের মশাল বইয়ে নিয়েছেন বিচক্ষণতার সাথে। জোয়ার দেখেও যিনি এতটুকু হীনমন্যতায় ভোগেননি; ভবিষ্যত মুক্তির রাজপথ নির্মাণ করেছেন দক্ষ শ্রমিক হয়ে।
কামালবাদের উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ভবিষ্যৎ বিজয়ের। তিনি খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে বলছেন—‘আমার তাড়া ছিল, তাই এসেছিলাম শীতকালে। আর তোমরা আসবে বেহেশতের মতো বসন্তে। যে আলোর বীজ আজ বোপন করা হলো, তা ফুল হয়ে ফুটবে তোমাদের বাগানে।’
এই মহান বিপ্লবী নুরসিকে একবার এই প্রশ্ন করা হয়েছিল—‘কেন আপনি আপনার ওপর জুলুম নির্যাতনকারীদের কিছুই বলছেন না? তাদের প্রতি আপনার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই কেন?’
উত্তরে সাঈদ নুরসি বলেছিলেন—‘আমার দেশের সন্তানেরা জাহান্নামের আগুনের দিকে যাচ্ছে। আমি বাবা হিসেবে নিজের সন্তানদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে কে আমার পায়ে ল্যাঙ দিলো, তা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়; বরং বাবা হিসেবে সন্তানকে আগুন থেকে বাঁচানোই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
বি:দ্র: বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসি এবং রিসালায়ে নুর বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Reviews
There are no reviews yet.