কষ্টিপাথর শুদ্ধি প্রকাশনী এর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই
যে কোন ইসলামী বই পেতে ইসলামিক বইঘর.কম এর সাথেই থাকুন
বি:দ্র: কষ্টিপাথর বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
৳ 360.00 Original price was: ৳ 360.00.৳ 180.00Current price is: ৳ 180.00.
[১৮০০+ বইয়ে ৫০% ছাড়!] BUY NOW
লেখক | ডা. শামসুল আরেফীন |
প্রকাশনী | মাকতাবাতুল আযহার |
প্রকাশিত | 2018 |
শেষ প্রকাশ | 2018 |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 144 |
ধরন | হার্ডকভার |
ভাষা | বাংলা |
কষ্টিপাথর শুদ্ধি প্রকাশনী এর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই
যে কোন ইসলামী বই পেতে ইসলামিক বইঘর.কম এর সাথেই থাকুন
অন্ধকার থেকে আলোতে
অন্ধকার থেকে আলোতে
অন্ধকার থেকে আলোতে
উপহার
অন্ধকার থেকে আলোতে
অন্ধকার থেকে আলোতে
অন্ধকার থেকে আলোতে
Muhibbullah bin Atik –
বই: কষ্টিপাথর।
ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম বা মতবাদ নয়। বরং ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে তার নিজস্ব রুলস। মানব জীবনের সব সমস্যার সমাধানও রয়েছে এই পথে। অন্যান্য ধর্মগুলো যেমন কিছু আঁচার অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ, ইসলাম তেমন নয়। ইসলাম তো আমাদের ঘুম থেকে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল কর্মকান্ডের সাথেই জড়িয়ে আছে। অন্যান্য মতবাদগুলো যেমন কাল্পনিক কিছু রুপরেখা প্রকাশ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ইসলাম সেরকমও নয়। বরং ইসলাম তো সম্পূর্ন প্রায়োগিক একটি দীন। যা আল্লাহ তার রাসুলের মাধ্যমে জগদ্বাসির সামনে তা প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন। তাই এই ধর্মের পূর্ন আদর্শই ছিলেন মুহাম্মদ (স:)। আর সেই আদর্শের নাম হলো সুন্নাহ।
বর্তমান মুসলিম সমাজের অবস্থা যেন মনিহারা সাপের মতো। নিজস্ব উন্নত ও সর্বোচ্চ মতবাদ ও জীবন পদ্ধতি ছেড়ে তারা প্রতিনিয়ত ছুটে চলছে পশচিমা ও ইউরোপিয় জীবন পদ্ধতির দিকে! বৃটিশ-ইউরোপিয় শিক্ষা ব্যবস্থা যেন দখল করে নিয়েছে আমাদের মগজগুলো! মুসলিম বিশ্বজুড়ে ওদের প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আমাদের মগজগুলো সম্পূর্ন রুপে ধোলাই করে ছেরেছে! ওদের বুদ্ধিবৃত্তিক ক্রুসেডে আমরা যেন একেবারেই পরাস্ত ও বিপর্যস্ত! বর্তমানে উন্নত সভ্যতা মানেই পশ্চিমা সভ্যতা! আধুনিক লাইফস্টাইল মানেই ইউরোপিয় লাইফস্টাইল!অনেকে মনে করে আমেরিকা ইউরোপ মানেই জান্নাত! তাদের গবেষনা ও মিডিয়া প্রপাগান্ডা হলো ওহী! অশ্লীলতা হলো ফ্যাশন! উলঙ্গপনা মানেই আধুনিকতা!
তারা অত্যান্ত সুকৌশলে আমাদের জীবন থেকে ইসলামকে পৃথক করে ফেলেছে! তারপর আমাদেরকে শিখিয়েছে কিভাবে ইউরোপীয় ও ঔপনিবেশিক চশমা দিয়ে ইসলামকে দেখতে হয়! যে চশমায় ইসলাম মানেই মধ্যযুগিয়, সেকেলে, অবৈজ্ঞানিক, কুসংস্কার সর্বস্ব,উন্নতি ও প্রগতির অন্তরায় একটি পুরোনো মতবাদ!!
মুহাম্মাদ(স:) এর সুন্নাহকে আমাদের জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করেছে অত্যন্ত চতুরতার সাথে। তাইতো আজ আমরা বলতে শিখেছি সুন্নাহ মানে আরব্য সংস্কৃতি! কখনো কখনো আবার সুন্নাহকে ব্যাকডেটেড আখ্যা দিয়ে জীবন থেকে মুছে ফেলেছি! সুন্নাহ যেন আজ সামাজিক বয়কটের শিকার! তাইতো আজ কেউ শুধু নামাজ পরলেই সে হয় ধার্মিক। আর যে প্রকৃত ধর্ম পালন করে তাকে বলা হয় কট্টর পন্থী! কেউ শাড়ি -চুড়ি পরে মাথায় একটা হিজাব পেচাইলেই হয়ে যায় ধার্মিক। আর যে প্রকৃত পর্দা করে সে হয় গোড়া ধর্মান্ধ! মুসলিমজাতির শান্তি ও সফলতা সবই জড়িত হচ্ছে এই সুন্নাহর সাথে। অথচ তা থেকে আজ আমরা শতো- সহস্র ক্রোশ দুরে!!!
এখন আমাদের কাছে বিজ্ঞান যেন ওহীর মতো! তাই বিজ্ঞান যা বলে তাই ই সত্য সেটাই আধুনিক! বাকিসব পুরোনো! অথচ নবী(স:) এর সুন্নাহ হচ্ছে সর্বাধুনিক লাইফস্টাইল! হয়তো তা আমাদের জানার সুযোগও হয়নি। আর তথাকথিত বিজ্ঞান মনস্ক কিছু ব্যক্তি আছে যাদের কাছে সুন্নাহ বা ইসলাম হচ্ছে একটি পুরোনো অকেজো মতবাদ। যার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তিই নেই! তাদেরকে বলছি,আচ্ছা ধরুন আধুনিক বিজ্ঞানের কোনো আবিষ্কার বা কোনো গবেষনার রেজাল্ট যদি সুন্নাহর সাথে মিলে যায় তখন কি তাকে কাকতালিয় বলবেন? কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের প্রত্যেকটা রেজাল্ট যদি চৌদ্দশত বছরের পুরোনো সুন্নাহর সুরে সুর মিলায় তখনও কি বলবেন এসবই কাক্তালিয়? যে বিজ্ঞানকে সত্যের মাপকাঠি ধরেছেন, সেই বিজ্ঞান যদি হাজার বছরের পুরোনো কোনো থিওরিকে সত্যায়ন করে তাহলে কি তা মেনে নিবেন? নাকি আধুনিক বিজ্ঞানের সেইটুকুই মানবেন যেটুকু আপনার প্রবৃত্তির সাথে যায়? বিজ্ঞান যতক্ষন ইসলামের বিপক্ষে আছে ততোক্ষন বিজ্ঞানের সাথে আছেন,আর ইসলামের পক্ষে কিছু প্রমানিত হলে তখন বিজ্ঞানকেও চেনেন না!! এ কেমন ডাবল স্টান্ডার্ড?!!
হ্যা তাহলে আপনাদের জন্যই এসেছে এই বই! আশা করি একটু হলেও মূক্তভাবে ভাবতে শিখাবে এই বই। দেখি কি আছে এই বইয়ে…………..
→ দূর্গের বাইরে পরিখা: এই যে ভাই আপনিই কি সেই ব্যক্তি যার সপ্তাহে অন্তত দুইবার একেবারে ক্লিন শেভ না হলে মুখটা কেমন যেন খচখচ করে, নিজেকে কেমন যেন আনস্মার্ট লাগে, এই বুঝি প্রিয় মানুষটাও অপছন্দ করে বসলো, এরকম মনে হয়???তাহলে এই অধ্যায়টা আপনার জন্যই। দেখুনতো কিছু বুঝতে পারেন কিনা..
→ সিন্ধুঘোটকনামা: আমাদের চারপাশে এমন কিছু ব্যক্তি দেখা যায় যাদের দাড়ি নজরুলের মতো হলেও গোঁফ যেন একদম রবি ঠাকুরকেও ছাড়িয়ে যায়!! হুম এই অধ্যায়টা তাদের জন্যই। একটু উঁকি দিয়ে দেখে যানতো আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলছে এ বিষয়ে…….
→ লেফট -রাইট: কিছু ব্যক্তি আছে তাদেরকে যদি বলেন, ভাই যে কোনো কাজ ডান পাশ দিয়ে শুরু করা সুন্নাহ। সুতরাং ডান পায়ের জুতাটা আগে পরুন।এবং জামার ডান হাতাটা……তখনি তারা বলে উঠবে ধুর মিয়া, মানুষ মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আর আপনি পরে আছেন ডান -বাম নিয়ে! এসব ফালতু ডান বাম বাদ দিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবেন…..!এই অধ্যায়টা তাদের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে!!!
→ প্যাকেট: বর্তমান নারী সমাজে আঁটসাঁট পোষাকটাই যেন আধুনিকতার প্রতীক! অনেকের পোষাক দেখেতো মনে হয় যে কাপড়টা পড়ার পরই সেলাইটা করা হয়েছে!! টাইটস -লেগিংস এ গুলোই যেন আধুনিকতার একদম আপগ্রেড ভার্সন!! সেই সাথে ফ্যাশন হাউসগুলোর ব্যবসাও একেবারে রমরমা!!
পুরুষ সমাজেও টাইট জিন্স, গ্যাবার্ডিনই স্মার্টনেসের প্রতীক! যতো আঁটসাঁট ততোই স্মার্ট। এই গ্রিস্মের গরমে যখন ফ্যাশন হাউসগুলো আপনাকে বুঝাচ্ছে যে হাফ হাতা শার্ট, টি শার্ট বা খোলামেলা টপস গুলোই আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল। তখন যদি আপনাকে বলা হয় এই গরমে ফুলহাতার ড্রেস পড়াই উপকারী। তাহলে কি মেনে নিবেন? নাকি এই আধুনিক ফ্যাশনের দিকে দৌড়াবেন? জানি আপনি সেদিকেই দৌড়াবেন। তবে আপনি কি জানেন এই আধুনিকতা বা স্মার্টনেস আপনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? তাহলে একবার পড়েই দেখুন না এই অধ্যায়টা……..
→ হেডকোয়ার্টারের জলছাদ: বর্তমান প্রজন্মের কাছে মাথার চুলগুলো স্পাইক করে টুইন টাওয়ারের মত খাড়া করে বা বিভিন্ন আধুনিক হেয়ার স্টাইল করে ঘুড়ে বেড়ানোটাই যেন স্মার্টনেসের অন্যতম দাবী। পাশে একটা টুপি পরা ছেলে দেখলেই তাদের মুখে ফুটে ওঠে একটা অবজ্ঞার হাসি। এই অধায়টি সেই সকল স্মার্ট ভাই বোনদের জন্যই…….
→ প্রাগৈতিহাসিক: এই আধুনিক যুগে যখন মানুষ বিভিন্ন গ্রহে বাড়ি ঘর বানানোর কথা ভাবছে। টিভির স্ক্রিনে এমন সব টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন দেখছেন যারা জীবানুদের সাথে ফাইট করে তাদেরকে ১২ ঘন্টার জন্য ধ্বংস করে দিচ্ছে তখন যদি আপনাকে বলি গাছের ডাল -পালা বা শিকড় বাকড় দিয়ে দাত পরিস্কার করতে আপনি কি তা মেনে নেবেন? নাকি আমাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন? তার আগে একবার ঘুড়ে আসুন এই অধ্যায় থেকে……
→ সমতলাধিকার: ডাইনিংয়ে বসে খাওয়া যেন এখন আধুনিক সভ্যতার ন্যূনতম পরিচায়ক! শহুরে বাসাগুলোতে ডাইনিং ব্যাবস্থা না থাকলে যেন জাতই থাকে না!! তাই সবাই এখন এই ডাইনিংয়ের অনুকরনে সিদ্বহস্ত। অথচ এটা কতোটুকু সাস্থ সম্মত তা ভেবে দেখার সময়ই যেন নেই!!হুম আবার ডাইনিংয়ে বসার আগে এই অধ্যায়টা একটু পড়ে আসুন……..
→ মাছিমারা কেরানি: আচ্ছা মাছির শরিরেও যে অ্যান্টিডোট থাকতে পারে সেটা কি চৌদ্দশত বছর আগে কারো জানার কথা? হ্যা এটাও জেনেছিলেন আমাদের প্রিয় নবী! এই কিছুদিন আগেও তারা এ নিয়ে খুব হাসা হাসি করতো!! কিন্তু আজ বিজ্ঞান যখন এটাকেও সত্যায়ন করলো তখন যেন এতদিনের চপেটাঘাত সব একবারে পড়লো তাদের গালে। বিস্তারিত জানতে পড়তে হবে এই অধ্যায়……..
→ জীবনের অপর নাম পানি: সমাজে এখনো এমন কিছু লোক আছে যারা কেউ অসুস্থ হলে হুজুরদের কাছে যায় পানি পড়া বা ঝার ফুক নিতে! আরেক দল এসব দেখে কুসংস্কার বলে তাচ্ছিল্য করে! অথচ যখন এর দ্বারা কেউ সুস্থ হয় তখন বলে যে ‘ভক্তিতে মূক্তি ‘। এখানে কি শধুই ভক্তিতে মুক্তি নাকি এর পিছনে আছে বৈজ্ঞানিক কোনো যুক্তি, জানতে হলে এই অধ্যায়টি পড়তেই হবে। এই অধ্যায় থেকে পানি সংক্রান্ত এমন সব তথ্য জানবেন যা হয়ত আপনি কোনোদিন কল্পনাও করতে পারেন নেই………
এরকম ত্রিশটি বৈজ্ঞানিক রিসার্চ এর ফলাফল নিয়ে হাজির হয়েছে এই বই। যার প্রত্যেকটি ফলাফল সুন্নাহর পক্ষে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে। যতো গবেষনা হবে তাও সুন্নাহর সুরেই সুর মিলাবে ইনশা আল্লাহ। কেননা সুন্নাহ হচ্ছে স্রষ্টার পক্ষ থেকে। আর স্রষ্টাই তো সবথেকে ভালো জানেন সৃষ্টির কল্যান কোন পথে এবং কোন পদ্ধতিতে। এরপরো যদি কেউ সৎপথে ফিরে না আসে তাহলে বুঝতে হবে আল কুরআনের ভাষায়…….
তারা হলো বোবা, বধির ও অন্ধ সুতরাং তারা প্রত্যাবর্তন করবে না …..(আল কুরআন- ২:৬)
পাঠ প্রতিক্রিয়া:
বইটি পড়ে সত্যিই নিজেকে কিছু প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়েছি। যে ছেলেটা চেগুয়েভারার টুপি পরে তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, যে ছেলেটা মেসি -রোনাল্ডোর জার্সি গায়ে তার আবেগ- উচ্ছাস প্রকাশ করে, যে ছেলেটা চুলের কাট থেকে শুরে করে পায়ের জুতা পর্যন্ত হলিউড-ভলিউড এর প্রিয় নায়কের অনুসরন করে, এদের থেকে কি নবীর প্রতি আমার আবেগ,ভালোবাসা, শ্রদ্বা কম?? যদি কম না হয়, তাহলে আমি কেন ওদের মতো নবীর প্রতি আমার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারছি না?? আশা করি বইয়ের প্রত্যেকটা অধ্যায় আপনার জ্ঞানের ভুবনকে আন্দোলিত করে তুলবে! আপনাকে নতুন করে ভাবতে শিখাবে। উন্মুক্ত করবে প্রকৃত সত্যের পথ। আমার জীবনে পড়া শ্রেষ্ঠ বইয়ের তালিকায় এটা অনেক শুরুর দিকেই যুক্ত হলো।সুতরাং সবাইকে বইটি পড়ার সর্বাত্মক অনুরোধ রইলো। আশা করি আপনার জীবনের অন্যত্ম সেরা অর্জন হবে বইটি। আল্লাহ লেখককে উত্তম বিনিময় দান করুন।আ-মী-ন।