প্রাচ্যবিদদের ইসলামচর্চার নেপথ্যে মাকতাবাতুল আযহার প্রকাশনীর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামী বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই।
১। প্রাচ্যবিদদের ইসলামচর্চার নেপথ্যে বইটি আপনি ফোন বা অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার করার পর ইসলামীক বইঘর ডট কম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার বিলি ঠিকানা নিশ্চিত করবে ।
৩। ইসলামিক বইঘর এখন ঢাকা ও এর আশেপাশে ক্যাশ অন ডেলিভারী ও কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে । এবং ঢাকার বাইরে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে ।
৫। বইয়ের মুল্য bKash, ডাচ বাংলা মোবাইল বা ক্যাশ অন ডেলিভারী এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে । বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে ৪০ টাকায় বই পৌছে দেয়া হবে ।
যে কোন ইসলামী বই পেতে ইসলামিক বইঘর.কম এর সাথেই থাকুন
বি:দ্র: প্রাচ্যবিদদের ইসলামচর্চার নেপথ্যে বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Nafees Omar –
ধরুন আপনার গোয়ালে গরু রয়েছে। আপনি ফেলে রেখে দিয়েছেন অযত্নে অবহেলায়। আর অন্য কেউ এসে সেই গরুর দুধ দুইয়ে নিয়ে গেল। কেমন হবে যদি সেই দুধে সে ভেজাল,বিষ মিশিয়ে সুন্দর প্যাকেটজাত করে আপনারই কাছে দাম দিয়ে বিক্রি করে? ভাবছেন দূর দূর আমার গরু থাকতে আমি দুধ কিনতে যাব কেন? আমি কি এতই বোকা?
এক্ষেত্রে আমরা বোকা হব কিনা জানি না,তবে আমরা মুসলিমরা বেশ বোকাই। অমূল্য রত্ন ইসলামী জ্ঞান, প্রজ্ঞা, শারীয়াহ্ নিয়ে আমরা অবজ্ঞাভরে পড়াশোনা না করলেও পশ্চিমের ওরিয়েন্টালিস্টরা ঠিকই পড়াশোনা করেছে,করছে। শুধু তাই নয়,তা নিয়ে গবেষণা করতে রীতিমত আদা জল খেয়ে নেমেছে।
কেন তাদের এই গবেষণা? ইসলামী নৈতিকতা,আদর্শ,ইতিহাস এসব নিয়ে তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে? নগন্য মাত্রায় তাদের কিছু সংখ্যক এই কাজ করলেও তাদের আসল উদ্দেশ্য উপরে উল্লেখিত ওই ভেজাল দুধ বিক্রেতার মতই।
সারাবিশ্বে ইসলামের ব্যপক প্রসার ও প্রতিপত্তি হিংসার উদ্রেক করে সেই ইহূদী-খ্রীষ্টানদের যারা মুসলিমদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে যুগের পর যুগ পরাজিত হয়ে আসছিল।তাই তারা একসময় সিদ্ধান্ত নিল ঢাল-তরবারি তুলে রাখার। সে সাথে মনোনিবেশ করল কিভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মুসলিমদের সারা জীবনের জন্যে পংগু করে দেয়া যায়। আর এক্ষেত্রে তারা অস্ত্র হিসেবে তুলে নিল ইসলামেরই শিক্ষাকে।
ড.মুস্তাফা আস-সিবাঈ তার এই বইতে দেখিয়েছেন তাদের ইসলামের শিক্ষা নিয়ে গবেষণার নেপথ্যের উদ্দেশ্য। তাদের ধর্মীয় চেতনা,সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা,বাণিজ্যিক মনোবৃত্তি, রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি চরিতার্থ করতে তারা শুরু করল ইসলামী নীতিমালা বিকৃতকরণ এবং তাদের রচিত কল্পনাপ্রসূত ইসলামী ইতিহাস সম্বলিত গবেষণা গ্রন্থের ব্যপক প্রচার ও প্রসার।ইসলামের শুভ্রতায় কালিমা লেপন করে মুসলিমদের তারা বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে শুরু করল বর্বর এক জাতি হিসেবে। The Encyclopedia of Islam, Encyclopedia of Religion and Ethics,The Call of the Minaret(K.Cragg),History of the Arabs(PK.Hitti) এসবেরই উদাহরণ।
একে একে তারা প্রশ্ন তুলল রাসূলুল্লাহ(সঃ) এর নাবুওয়াত নিয়ে, ইসলাম আল্লাহ্প্রদত্ত ধর্ম হওয়া নিয়ে, হাদীসের বিশুদ্ধতা নিয়ে তথা বুদ্ধিবৃত্তিক সন্দেহ বিস্তার শুরু করল মুসলিমদেরই ইসলাম নিয়ে সন্দিহান করে তুলতে। এতে তারা কতটুকু সফল তা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা আমরা যে শিক্ষার্জনের মানদন্ড হিসেবে পশ্চিমাদের কলাকৌশলকেই মেনে নিয়েছি চোখ বুজে।
নেতিবাচক দিকঃ লেখনির নেতিবাচক দিক চোখে পড়েনি তবে যেসব জায়গায় বইয়ের নামের উল্লেখ রয়েছে তা হরকত বিহীন আরবীতে হওয়ায় বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যাদের রেফারেন্স ঘাঁটার অভ্যেস রয়েছে তাদের বিরক্তির উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক।