নাস্তিকতার স্বরূপ সন্ধান মাকতাবাতুল হেরা প্রকাশনীর ইসলামি বই টি পেতে ইসলামিক বইঘর ডট কম এ অনলাইন অর্ডার করুন এখনই।
১। নাস্তিকতার স্বরূপ সন্ধান বইটি আপনি ফোন বা অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার করার পর ইসলামিক বইঘর ডট কম আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনার বিলি ঠিকানা নিশ্চিত করবে ।
৩। ইসলামিক বইঘর এখন ঢাকা ও এর আশেপাশে ক্যাশ অন ডেলিভারী ও কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে । এবং ঢাকার বাইরে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে বই পাঠাচ্ছে ।
৫। বইয়ের মুল্য bKash, ডাচ বাংলা মোবাইল বা ক্যাশ অন ডেলিভারী এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে । বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে ৪০ টাকায় বই পৌছে দেয়া হবে ।
যে কোন ইসলামী বই পেতে ইসলামিক বইঘর.কম এর সাথেই থাকুন
বি:দ্র: নাস্তিকতার স্বরূপ সন্ধান বইটি free pdf download করিতে চাহিয়া লেখকদের নিরুৎসাহিত করিবেন না
Muhammad Sabuz Ahmed –
শাহাবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আগ পর্যন্ত বাংলার বেশীরভাগ মানুষ এই “নাস্তিক” শব্দের সাথে অপরিচিত ছিলেন। এর আগেও কিছু মানুষ নাস্তিকতা নিজের মধ্যে লালন করত তবে সেতা এত প্রকাশ পায় নি যেমনটি পেয়েছিল গণজাগরণ এরপর। গণজাগরণের পর থেকেই ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কল্যানে জানতে শুরু করল এই নাস্তিকতা কি জিনিষ। গনজাগরণ যে উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল কালকর্মে সেই উদ্দেশ্য থেকে হঠে গিয়ে “ধর্ম বিদ্বেষে” রূপ নিল। সেই থেকে এ দেশের মানুষ তাদেরকে চিনতে শুরু করল। যখন তাদের টার্গেট ও মূল লক্ষ্য হয়ে গিয়েছিল ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিষোদ্গার, অসভ্য, অকথ্য ভাষায় গালাগাল। তখন হেফাজত ইসলামের ব্যানারে লক্ষ মুসলিম জনতা শাপলা চত্বররে এসেছিল যাতে তাদের প্রিয় মানুষ অর্থাৎ নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পত্নী সম্পর্কে তথা ইসলামের যত শাখা প্রশাখা আছে সেগুলো নিয়ে যাতে অশ্লীল কোন মন্তব্য আর না হয় সেজন্য একত্রিত হয়েছিল। তার পরের ইতিহাস বাংলার মানুষের জানা আছে। সেই থেকে আরো বেশী করে জানতে শুরু করল এ দেশের মানুষ নাস্তিকতার সম্পর্কে।
দিন দিন তারা যেন আরো হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়ে উঠছে। আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে ইসলাম ধর্মকে অসারতা প্রমান করার জন্য। বাংলার সহজ সরল মুসলমানকে বিজ্ঞানের (কু)যুক্তি নামে বুঝাতে শুরু করল ধর্মের অসারতা। আস্তে আস্তে তাদের দল ভারি হচ্ছে। তার বেশ কিছু দিন পর তরুণ প্রজন্ম থেকে উঠে আসল “আরিফ আজাদ” নামের একটি ছেলে লিখে ফেলল বিখ্যাত একটি বই “প্যারাডক্সিকেল সাজিদ” ২০১৭ সালে রকমারি ডট কমে বেস্ট সেলার বই হিসেবে স্থান পায়। একে একে উঠে আসে “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড” খ্যাত নামা বইয়ের লেখক ড. শামসুল আরেফিন। যা নাস্তিক পাড়ায় এটম বোমের মত কাজ করছে এখন অবধি। এর পরও আরো কিছু হাইলি শিক্ষিত তরুণ, ডাক্তার ভাইয়েরা এগিয়ে আসে নাস্তিকতার বুলি অসরতা প্রমান করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ তারা সফল হয়েছেন এবং হচ্ছেন।
কিন্তু যেই বইটির রিভিউ আমি লিখছি সেটা কোন নাস্তিকের ব্যাপারে এট্যাক (তাদেরকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করা) বা ডিফেন্সিভমূলক কোন বই না। এই বইটি আপনাকে নাস্তিকতার অলি গলি সম্পর্কে বিস্তর ধারনা দিবে।
ঠিক কি কারণে মানুষ নাস্তিক হয়?
বাংলার বিখ্যাত কিছু নাস্তিকের পরিচয় ও তাদের কর্ম্পন্থা।
বিশ্বব্যাপি নাস্তিকদের অর্থসংস্থান
কেন এই অর্থ দেয়?
নাস্তিকতা প্রতিরোধে কর্মকৌশল ইত্যাদি আরো বিষয় নিয়ে।
বইটি লিখতে গিয়ে লেখক অনেক পড়াশুনা করেছেন তার ছাপ স্পষ্ট। লেখক এই বইটি লিখতে গিয়ে ৫০ টি গ্রন্থের সহায়তা নিয়েছে।
বইটি পড়লে আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে নাস্তিক ও নাস্তিক্যবাদ কি।
তাই বর্তমানে সবাইকে বিশেষ করে তরুণতরুনীদেরকে এই বইটি পড়া জরুরি মনে করছি। সর্বশেষ বই থেকে কিছু উদ্ধৃতি না দিয়ে পারছি।
উনবিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে বেশী নাস্তিক্যবাদ প্রচার –প্রসার ও প্রতিষ্ঠা লাভ হয়েছে কমিউনিজম বা সাম্যবাদের হাত ধরে। নাস্তিকতার বিস্তার ঘটাতে গিয়ে কমিউনিস্টরা দুই হাতে মানুষকে হত্যা করেছে।
“The Black Book of Communism” বইটিতে বলা হয়েছে, “কমিউনিস্ট সরকার (যুদ্ধ ব্যতীত) ১০০’শ মিলিয়ন লোক হত্যা করেছে”। কি অবাক হচ্ছেন? মিলছেনা তাদের স্লোগান এর সাথে? তারা মানবতা মানবতা করে চিল্লায় আর কেমন মানবতা বুঝলেন ত এবার।